Posts

Showing posts from November, 2024

সুদ কত প্রকার? কি কি? লেখক- মোঃ ফিরোজ কবির।

 সুদ কত প্রকার? কি কি?  সুদ (রিবা) ইসলামে প্রধানত দুই প্রকার হিসেবে বর্ণিত: ১. রিবা আল-ফাদল (Riba al-Fadl) এটি সুদের প্রথম প্রকার, যা মূলত পণ্য বা সম্পদ বিনিময়ে অতিরিক্ত লাভ গ্রহণের মাধ্যমে হয়। এর মধ্যে দুটি পণ্যের মধ্যে যে কোনো একটি পণ্যের অতিরিক্ত মূল্য বা পরিমাণ গ্রহন করা হয়, যা যে ধরণের পণ্য বা সেবার প্রকৃত বিনিময়ে যোগ্য নয়। উদাহরণ: সোনা ও রূপার ক্ষেত্রে: যদি আপনি সোনা বা রূপা বিনিময় করেন, তবে একে অপরের সমান পরিমাণে বা সমমূল্যে বিনিময় করতে হবে। কিন্তু যদি আপনি বেশি সোনা নিয়ে কম রূপা দেন (অথবা বিপরীত), তবে এটি সুদের অন্তর্ভুক্ত হবে, কারণ আপনি অতিরিক্ত লাভ বা মূল্য গ্রহণ করছেন। কুরআনে সূরা আল-বাকারা (২:২৭৫) এ বিষয়ে নির্দেশনা রয়েছে। ২. রিবা আল-নাসিয়া (Riba al-Nasi'ah) এটি সবচেয়ে পরিচিত এবং পরিশোধের জন্য একটি নির্দিষ্ট সময় নির্ধারণ করে, যা অর্থনৈতিক লেনদেনের সময় সুদ চালু হয়। এটি সেই সুদ যেখানে ঋণের পরিমাণ নির্ধারণ করা হয় এবং এর উপর নির্দিষ্ট অতিরিক্ত পরিমাণ পরিশোধ করতে বলা হয়, যা মূল ঋণের পরিমাণের অতিরিক্ত। উদাহরণ: ঋণের সুদ: যদি আপনি কাউকে ঋণ দেন এবং তাকে সুদ প্রদান করতে বলেন...

সুদ হারাম কেন? লেখক- মোঃ ফিরোজ কবির।

সুদ (রিবা) ইসলামে হারাম (নিষিদ্ধ) কেন, তার একটি শক্তিশালী ভিত্তি রয়েছে। সুদকে হারাম ঘোষণার পেছনে ইসলামী নীতি, নৈতিকতা এবং আধ্যাত্মিক দৃষ্টিকোণ থেকে অনেক কারণ রয়েছে। এখানে এর মূল কারণগুলো ব্যাখ্যা করা হলো: ১. অবিচার এবং শোষণ: সুদ হল একটি শোষণমূলক অর্থনৈতিক লেনদেন, যেখানে ঋণদাতা কেবল ঋণ গ্রহীতার উপর অতিরিক্ত অর্থ চাপিয়ে দেয়, যা কোনো পণ্য বা সেবা থেকে উদ্ভূত নয়। এতে ঋণগ্রহীতা অর্থনৈতিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়, কারণ সে মূল ঋণের পাশাপাশি সুদের অর্থও পরিশোধ করতে বাধ্য হয়, যা তার আর্থিক অবস্থাকে আরও খারাপ করে তোলে। ইসলামের দৃষ্টিকোণ: ইসলাম শোষণ এবং অন্যের ওপর অযথা চাপ সৃষ্টি করা নিষিদ্ধ করেছে। যে কোনো লেনদেন যা একপক্ষকে ক্ষতির মুখে ফেলে এবং অন্যপক্ষকে অনুপাতিকভাবে লাভবান করে, তা ইসলামে ন্যায়সঙ্গত নয়। সুদ এই ধরনের শোষণমূলক লেনদেনের একটি উদাহরণ। ২. আর্থিক সমতার অভাব: সুদ ব্যাংক বা ঋণদাতাকে একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থ আয়ের নিশ্চয়তা দেয়, তবে ঋণগ্রহীতা ঝুঁকি বা ন্যায্যতা থেকে মুক্ত থাকে না। এর ফলে ঋণগ্রহীতা ক্ষতিগ্রস্ত হয় এবং ধনী আরও ধনী হয়ে যায়। এটি সমাজে অর্থনৈতিক বৈষম্য সৃষ্টি করে। ইসলামের দৃষ্টিক...

সুদের শাস্তি ও কুফল আলোচনা কর। লেখক- মোঃ ফিরোজ কবির।

সুদের শাস্তি?  ইসলামে সুদের (রিবা) শাস্তি অত্যন্ত গুরুতর এবং এটি কুরআন ও হাদিসে স্পষ্টভাবে উল্লেখ করা হয়েছে। সুদ, বা রিবা, অর্থনৈতিক শোষণ হিসেবে বিবেচিত হয় এবং ইসলাম এই ধরনের অবিচারকে নিষিদ্ধ করেছে। সুদের শাস্তি সম্পর্কে কুরআন এবং হাদিসে কিছু কঠোর সতর্কতা ও শাস্তির কথা বলা হয়েছে। ১. কুরআনে সুদের শাস্তি: কুরআনে সুদের উপর অনেক গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে এবং তা নিষিদ্ধ করা হয়েছে। এখানে সুদের শাস্তি সম্পর্কে কিছু উল্লেখযোগ্য আয়াত: সূরা আল-বাকারা (২:২৭৫) : "যারা সুদ খায়, তারা কেবল সেই ব্যক্তির মতো হবে যারা শয়তানের স্পর্শে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এটি তাদের জন্য একটা বড় ক্ষতি। তারা অবশ্যই জাহান্নামে যাবে।" সূরা আল-বাকারা (২:২৭৯) : "তোমরা যদি সুদ গ্রহণ থেকে বিরত না হও, তবে আল্লাহ এবং তাঁর রসূল তোমাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করবে।" এই আয়াতগুলোতে সুদ গ্রহণের পরিণতি খুবই কঠিন ও ভয়াবহ বলে উল্লেখ করা হয়েছে। ইসলামিতে সুদ গ্রহণ বা প্রদানে এক ধরনের ভয়াবহ শাস্তির প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে, যা আধ্যাত্মিক এবং পার্থিবভাবে ক্ষতিকর। ২. হাদিসে সুদের শাস্তি: হাদিসেও সুদের শাস্তি সম্পর্কে কঠোর সতর্কতা রয়েছে।...

Difference between interest and profit? Writer - Md Firoj Kobir.

 Here’s the difference between Interest (Usury) and Profit in English: 1. Definition: Interest (Usury): Interest is the extra money charged by a lender over the principal loan amount. It is typically determined by a fixed percentage of the loan amount and is required to be paid by the borrower. In Islamic finance, interest (referred to as Riba ) is forbidden, as it is considered exploitative and unjust. Profit: Profit is the gain obtained from business or investment activities, calculated as the difference between total income and expenses. It comes from productive activities such as selling goods, providing services, or making investments. Profit is considered lawful and permissible in Islam, provided it is earned through fair and ethical means. 2. Source: Interest: Interest comes from lending money, where the borrower agrees to repay the loan along with a certain percentage of extra money (interest). The lender makes money solely from the loan itself, without any productive act...

সুদ কি? ইসলামে সুদের ধারণা? মুনাফা কি? ইসলামে মুনাফার ধারণা? সুদ ও মুনাফার পার্থক্য। লেখক- মোঃ ফিরোজ কবির।

  সুদ হল একটি অর্থনৈতিক প্রক্রিয়া যেখানে ঋণের পরিমাণের ওপর একটি নির্দিষ্ট হারে অতিরিক্ত অর্থ (সুদ) নেওয়া বা দেওয়া হয়। এটি মূলত ঋণগ্রহীতা (যে টাকা ধার নেয়) এবং ঋণদাতা (যে টাকা ধার দেয়) এর মধ্যে একটি আর্থিক চুক্তি হিসেবে কাজ করে। সুদ সাধারণত কিছু নির্দিষ্ট হারে হিসাব করা হয়, যা ঋণের মূল পরিমাণের উপর নির্ভর করে। সুদ এর ধরণ: সরাসরি সুদ (Simple Interest): এটি মূলধনের উপর সরাসরি সুদ হিসাব করা হয়, যেখানে সুদ নির্দিষ্ট সময় অন্তর প্রদান করা হয়। এই সুদ পরিমাণের জন্য শুধুমাত্র মূলধন (মূল টাকা) ব্যবহার করা হয়। উদাহরণস্বরূপ: সুদ = মূলধন × সুদের হার × সময় \text{সুদ} = \text{মূলধন} \times \text{সুদের হার} \times \text{সময়} সুদ = মূলধন × সুদের   হার × সময় যত্নসুন্দর সুদ (Compound Interest): এই সুদে সুদের পরিমাণ মূলধনের সাথে যুক্ত হয়ে আবার সুদ হিসাবে গণনা করা হয়, যার ফলে প্রতি সময়সীমার পরে সুদের পরিমাণ বাড়তে থাকে। এটি সাধারণত দীর্ঘমেয়াদি ঋণ বা বিনিয়োগে ব্যবহৃত হয়। উদাহরণ: বাড়তি পরিমাণ = মূলধন × ( 1 + সুদের হার 100 ) সময়ের সংখ্যা \text{বাড়তি পরিমাণ} = \text{মূলধন} \times (1...

Some effective ways to save children from mobile phone addiction. Writer- Md. Firoj Kobir.

 To prevent children from mobile phone addiction, several effective strategies can be implemented that focus on their physical, mental, and social well-being. Here are some ways to help children avoid mobile phone addiction: 1. Control Mobile Phone Usage: Set time limits: Establish a fixed time for mobile phone usage, such as 1-2 hours a day, or restrict phone use after a certain time, like after dinner. Prioritize studies and responsibilities: Encourage your child to complete their studies, homework, or other essential tasks before using the mobile phone. 2. Encourage Educational Activities and Hobbies: Develop hobbies and creativity: Encourage your child to engage in activities like reading, drawing, learning music, or playing games. This will help them develop their creative skills and reduce excessive mobile phone usage. Promote sports or outdoor activities: Encourage your child to play sports or spend time outdoors. Physical activities are essential for a child's growth and wi...

মোবাইল ফোনের আসক্তি থেকে শিশুদের বাচানোর জন্য কিছু কার্যকরী উপায়। লেখক- মোঃ ফিরোজ কবির।

 মোবাইল ফোনের আসক্তি থেকে শিশুদের বাচানোর জন্য কিছু কার্যকরী উপায় রয়েছে, যা তাদের শারীরিক, মানসিক এবং সামাজিক উন্নতির জন্য সহায়ক হতে পারে। এখানে কিছু উপায় আলোচনা করা হলো: ১. মোবাইল ফোনের ব্যবহার নিয়ন্ত্রণ: সময়সীমা নির্ধারণ: মোবাইল ফোনের ব্যবহারের জন্য একটি নির্দিষ্ট সময়সীমা নির্ধারণ করুন। যেমন, দিনে ১-২ ঘণ্টা অথবা সন্ধ্যার পর মোবাইল ফোন ব্যবহার নিষিদ্ধ করা যেতে পারে। পাঠ্যপুস্তক ও পড়াশোনা আগে: মোবাইল ফোন ব্যবহারের আগে শিশুকে তার পড়াশোনা, হোমওয়ার্ক বা অন্যান্য শিক্ষামূলক কাজ সম্পন্ন করতে উৎসাহিত করুন। ২. শিক্ষামূলক কাজ ও শখের প্রতি আগ্রহ বৃদ্ধি: শখ এবং সৃজনশীল কর্মকাণ্ড: শিশুদের বই পড়া, আঁকা, গান শেখা বা খেলা-ধুলায় আগ্রহী করে তুলুন। এগুলি তাদের মানসিক বিকাশে সহায়তা করবে এবং মোবাইল ফোনে অতিরিক্ত সময় কাটানোর প্রবণতা কমাবে। ক্রীড়া বা বাহিরে সময় কাটানো: খেলাধুলা বা বাইরে সময় কাটানো শিশুর শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্য উন্নত করতে সাহায্য করবে। এটি মোবাইল ফোনে আসক্তির প্রভাব কমাতে সহায়তা করবে। ৩. একসঙ্গে সময় কাটানো: পারিবারিক সময়: শিশুর সঙ্গে পরিবার ও বন্ধুদের সঙ্গে সময় কাটানো অত্যন্ত গুরুত্ব...

আমার সন্তান মোবাইল ফোনে আসক্ত হয়ে পড়েছে। এখানে মোবাইল ফোনের আসক্তির কিছু সাধারণ লক্ষণ দেওয়া হলো। লেখক - মোঃ ফিরোজ কবির।

সন্তানদের মোবাইল ফোনের আসক্তি এক ধরনের মানসিক এবং শারীরিক সমস্যা হয়ে দাঁড়াতে পারে, এবং এর কিছু লক্ষণ রয়েছে যা দেখে অভিভাবকরা বুঝতে পারেন যে তাদের সন্তান মোবাইল ফোনে আসক্ত হয়ে পড়েছে। এখানে মোবাইল ফোনের আসক্তির কিছু সাধারণ লক্ষণ দেওয়া হলো: ১. মোবাইল ফোনে অতিরিক্ত সময় কাটানো: সন্তান যদি দিনে একাধিক ঘণ্টা মোবাইল ফোনে ব্যয় করে, এবং এটি তার অন্যান্য কার্যকলাপ, যেমন পড়াশোনা, খেলা বা পরিবারের সাথে সময় কাটানোকে প্রভাবিত করে, তবে এটি আসক্তির লক্ষণ হতে পারে। রাতে শোবার সময়ও মোবাইল ফোন ব্যবহার করা এবং ঘুমানোর সময় এটি রেখে না আসা। ২. মোবাইল ফোনের প্রতি আবেগীয় সংযুক্তি: সন্তান যদি মোবাইল ফোন না পেয়ে মানসিক অস্থিরতা, হতাশা বা উত্তেজনা দেখায়, তাহলে এটি মোবাইল ফোনের প্রতি অতিরিক্ত আবেগীয় সংযুক্তির লক্ষণ। মোবাইল ফোনে যদি কোনো সমস্যার সৃষ্টি হয় (যেমন ব্যাটারি কমে যাওয়া বা ফোন হারানো), তখন সন্তান তীব্র উদ্বেগ বা দুশ্চিন্তা অনুভব করতে পারে। ৩. পড়াশোনা বা অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ কাজের প্রতি উদাসীনতা: সন্তান যদি মোবাইল ফোন ব্যবহার করতে গিয়ে পড়াশোনায় বা অন্য কোনো দায়িত্বে আগ্রহ হারিয়ে ফেলে, এবং এতে তার একাডেমি...

মোবাইল ফোনের প্রভাব কি শিশুদের ওপর পড়তে পারে? লেখক - মোঃ ফিরোজ কবির।

 মোবাইল ফোনের প্রভাব কি শিশুদের ওপর পড়তে পারে? হ্যাঁ, মোবাইল ফোনের প্রভাব শিশুদের ওপর পড়তে পারে, এবং এটি শারীরিক, মানসিক, সামাজিক, শিক্ষাগত ও নিরাপত্তা সংক্রান্ত বিভিন্ন ধরনের সমস্যা তৈরি করতে পারে। এখানে কিছু গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব দেওয়া হলো: ১. শারীরিক প্রভাব: দৃষ্টিশক্তি সমস্যা: মোবাইল ফোনের স্ক্রীনে দীর্ঘ সময় দেখার কারণে শিশুদের চোখে চাপ পড়ে, যা দৃষ্টিশক্তি কমিয়ে দিতে পারে। এতে চোখে জ্বালা, চোখ শুকিয়ে যাওয়া এবং ঝাপসা দেখা হতে পারে। ঘুমের সমস্যা: মোবাইল ফোনের নীল আলো (Blue Light) মেলাটোনিন হরমোনের উৎপাদন বাধা দেয়, যা ঘুমের জন্য প্রয়োজনীয়। এর ফলে শিশুদের ঘুমের সমস্যা হতে পারে এবং দীর্ঘ সময় মোবাইল ফোন ব্যবহার করলে সঠিক পরিমাণে ঘুম না হওয়া শিশুর শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্যের ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে। পোস্টুরাল সমস্যা: মোবাইল ফোনে দীর্ঘ সময় সময় কাটানোর ফলে শিশুদের শরীরের পজিশন ভুল হয়ে যেতে পারে, যার ফলে পিঠ, ঘাড় ও কাঁধে ব্যথা হতে পারে। সঠিকভাবে বসে না থাকার কারণে শারীরিক সমস্যা তৈরি হতে পারে। ২. মানসিক প্রভাব: অবসাদ ও উদ্বেগ: অতিরিক্ত মোবাইল ফোন ব্যবহার শিশুদের মধ্যে মানসিক চাপ ও...

মোবাইল ফোনের কুফলগুলো আলোচনা কর। লেখক- মোঃ ফিরোজ কবির।

 মোবাইল ফোনের অনেক উপকারিতা থাকা সত্ত্বেও, এর কিছু কুফল বা ক্ষতিকর প্রভাবও রয়েছে, যা শারীরিক, মানসিক, সামাজিক এবং পারিবারিক জীবনকে প্রভাবিত করতে পারে। মোবাইল ফোনের কুফলগুলো নিম্নরূপ: ১. শারীরিক স্বাস্থ্যের ক্ষতি: দৃষ্টিশক্তি হ্রাস: মোবাইল ফোনের অতিরিক্ত ব্যবহারে চোখের দৃষ্টিশক্তি দুর্বল হতে পারে, কারণ এটি দীর্ঘ সময় চোখের সামনে থাকার কারণে চোখে চাপ সৃষ্টি করে এবং চোখের শুকিয়ে যাওয়ার সমস্যা তৈরি করে। ঘুমের সমস্যা: মোবাইল ফোনের স্ক্রীনে অতিরিক্ত সময় কাটালে এবং বিশেষ করে রাতে ফোন ব্যবহার করলে ঘুমের সমস্যা সৃষ্টি হতে পারে। মোবাইল ফোনের নীল আলো (Blue light) মেলাটোনিন হরমোনের উৎপাদন বাধা দেয়, যা ঘুমের জন্য অপরিহার্য। ফলে ভালো ঘুম পাওয়া কঠিন হতে পারে। হ্যালো বা স্ক্রীন টাইমের প্রভাব: মোবাইল ফোনে দীর্ঘ সময় স্ক্রীন দেখলে মস্তিষ্কের উপর নেতিবাচক প্রভাব পড়ে, যেমন মাথাব্যথা, ক্লান্তি, চোখে জ্বালা, পিঠ বা ঘাড়ের ব্যথা ইত্যাদি। ২. মানসিক এবং সামাজিক প্রভাব: অ্যাডিকশন বা আসক্তি: মোবাইল ফোনে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সময় কাটানো, গেমস খেলা, ইন্টারনেট ব্যবহার ইত্যাদি আসক্তি সৃষ্টি করতে পারে। এটি মা...

পাত্র-পাত্রীর সঠিক নির্বাচন কেন গুরুত্বপূর্ণ? লেখক- মোঃ ফিরোজ কবির।

 পাত্র ও পাত্রী নির্বাচন খুবই গুরুত্বপূর্ণ, কারণ এটি একটি জীবনের অন্যতম মৌলিক সিদ্ধান্ত যা ভবিষ্যতে দাম্পত্য জীবনের সুখ, শান্তি এবং স্থায়িত্বের জন্য গভীর প্রভাব ফেলে। ইসলাম, সমাজ ও মনস্তাত্ত্বিক দৃষ্টিকোণ থেকে এই নির্বাচন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ন, এবং এর কিছু মূল কারণ নিচে উল্লেখ করা হলো: ১. দাম্পত্য জীবন এবং ভবিষ্যতের ভিত্তি: পাত্র বা পাত্রী নির্বাচন এমন একটি সিদ্ধান্ত যা গোটা দাম্পত্য জীবনকে প্রভাবিত করে। একজন পাত্র-পাত্রীর চরিত্র, মূল্যবোধ এবং সম্পর্কের মানসিকতা তাদের যৌথ জীবনের ভিত্তি গড়ে তোলে। যদি তারা একে অপরের সাথে ভালো বোঝাপড়া এবং সম্মানপূর্ণ সম্পর্ক স্থাপন করে, তবে তাদের দাম্পত্য জীবন সুখী এবং সফল হবে। ২. শান্তি ও সহযোগিতার পরিসর: একজন ভালো জীবনসঙ্গী সংসারের শান্তি, সুখ এবং পারস্পরিক সহযোগিতা বৃদ্ধি করে। যদি পাত্র এবং পাত্রী পরস্পরের মূল্যবোধ এবং চিন্তা-ধারা সম্পর্কে সঠিকভাবে জানেন এবং মেনে চলেন, তবে তারা একে অপরকে সহায়ক হতে পারেন। উভয় পক্ষের মধ্যে বিশ্বাস এবং সমঝোতা থাকলে দাম্পত্য জীবনে কোন ধরনের দ্বন্দ্ব বা ঝামেলা সৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা কম থাকে। ৩. সন্তানের চরিত্র ও বিকাশ:...

কুরআন ও হাদিসে পাত্র নির্বাচনের বিষয়ে কি বলা হয়েছে। লেখক- মোঃ ফিরোজ কবির।

 ইসলামে পাত্র নির্বাচন একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ন বিষয়, কারণ এটি দাম্পত্য জীবনের শান্তি, সফলতা এবং স্থায়িত্বের জন্য ভিত্তি স্থাপন করে। কোরআন ও হাদিসে পাত্র নির্বাচনের ব্যাপারে কিছু গুরুত্বপূর্ণ দিকনির্দেশনা দেয়া হয়েছে। কোরআনে পাত্র নির্বাচনের নির্দেশনা: ১. ঈমান ও ধর্মীয় মূল্যবোধ: কোরআনে মুসলিম পুরুষের জন্য পরামর্শ দেওয়া হয়েছে যে, তারা এমন পাত্রী নির্বাচন করবে যারা ঈমানী ও ধর্মীয় মূল্যবোধে দৃঢ়। সূরা আল-বাকারাহ (2:221): "তোমরা মুশরিক নারীদেরকে (তাদের বিশ্বাস অনুযায়ী) বিয়ে করতে পারো না, যতক্ষণ না তারা ঈমান আনে। একজন মুশরিক নারী, মুসলিম নারী থেকে ভালো নয়, যদিও সে তোমাদের কাছে কতই না ভালো লাগে।" এই আয়াতের মাধ্যমে, পাত্রকে এমন নারীর সাথে বিয়ে করতে উৎসাহিত করা হয়েছে যার ঈমান দৃঢ় এবং সে ইসলামের মূল নীতি মেনে চলে। চরিত্র ও নৈতিকতা: কোরআন চরিত্রের ওপরও গুরুত্ব দেয়। একজন পাত্রের জন্য অবশ্যই এমন পাত্রী নির্বাচন করা উচিত যার চরিত্র এবং নৈতিকতা ভালো। সূরা আলে-ইমরান (3:195): "তোমরা যা খরচ কর, তার পরিণতি পাবে, এবং তোমরা যা কাজ কর, তা থেকে তোমাদের পুরস্কৃত করা হবে।" এ...

কুরআন ও হাদিসে পাত্রী নির্বাচনের বিষয়ে কি বলা হয়েছে। লেখক- মোঃ ফিরোজ কবির।

 ইসলামে পাত্রী নির্বাচন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়, কারণ এটি ভবিষ্যত জীবন, পরিবারের শান্তি, এবং দাম্পত্য সম্পর্কের জন্য গুরুত্বপূর্ণ ভিত্তি স্থাপন করে। কোরআন ও হাদিসে পাত্রী নির্বাচনের বিষয়ে কিছু বিশেষ দিক নির্দেশনা রয়েছে, যা একজন মুসলিম পুরুষের জন্য দিকনির্দেশক হতে পারে। কোরআনে পাত্রী নির্বাচনের নির্দেশনা: ১. ঈমান ও ধর্মীয় বিশ্বাস: কোরআনে সাফভাবে উল্লেখ করা হয়েছে যে, একজন মুসলিম পুরুষকে তার বিবাহের জন্য এমন নারী নির্বাচন করতে হবে যে ঈমানী এবং ধর্মীয় নীতিতে দৃঢ়। সূরা আল-বাকারাহ (2:221): "তোমরা মুশরিক নারীদেরকে (তাদের বিশ্বাস অনুযায়ী) বিয়ে করতে পারো না, যতক্ষণ না তারা ঈমান আনবে। একজন মুশরিক নারী, মুসলিম নারী থেকে ভালো নয়, যদিও সে তোমাদের কাছে কতই না ভালো লাগে।" এই আয়াতের মাধ্যমে বলা হয়েছে যে, একজন মুসলিম নারী বা পুরুষের সাথে বিয়ে করা উচিত যাদের ঈমান ও ধর্মীয় মূল্যবোধ একই রকম। ২. ভালো চরিত্র ও নৈতিকতা: কোরআনে চরিত্র এবং নৈতিকতার গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে, যা একজন পাত্রী নির্বাচনে গুরুত্বপূর্ণ দিক। সূরা আলে-ইমরান (3:195): "তোমরা যা খরচ কর, তার পরিণতি পাবে, এবং ত...

আমি বিবাহ করতে চাই। তাই পাত্রি নির্বাচনের শর্তাবলী কি কি? ইসলাম এ সম্পর্কে কি বলে? লেখক- মোঃ ফিরোজ কবির।

Image
বিবাহের ক্ষেত্রে পাত্র-পাত্রির নির্বাচন একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়, বিশেষত ইসলাম ধর্মে যেখানে এটি যথেষ্ট গুরুত্বের সাথে বিবেচিত হয়। ইসলাম অনুযায়ী, পাত্রি নির্বাচনের কিছু মূল শর্তাবলী আছে, যা অনুসরণ করলে একটি সফল এবং শান্তিপূর্ণ বিবাহ জীবনের ভিত্তি স্থাপন করা সম্ভব। ইসলামিক দৃষ্টিকোণ থেকে পাত্রি নির্বাচনের শর্তাবলী: ১. ঈমান ও ধর্মীয় নীতি: ইসলামে একজন নারীর মধ্যে ঈমান এবং ধর্মীয় মূল্যবোধ গুরুত্বপূর্ণ। পাত্রির ধর্মীয় বিশ্বাস এবং তার সৎ জীবনযাপন, ইসলামের মূল নীতি মেনে চলা উচিত। কোরআন ও হাদিসে বলা হয়েছে, "তোমরা তাদেরকে বিবাহ করো যারা ঈমান আনে, মুমিন নারীই তোমাদের জন্য শ্রেয়।" (কোরআন 2:221) ২. চরিত্র ও নৈতিকতা: পাত্রির চরিত্র, সততা, ভদ্রতা এবং নৈতিক মূল্যবোধ খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ইসলাম নারীর সততা, সতর্কতা এবং তার আচার-আচরণে মেধা ও মার্জিততা দেখতে চায়। ৩. পর্দা ও লজ্জা: ইসলাম পাত্রির মধ্যে পর্দা এবং লজ্জাশীলতার গুরুত্ব দেয়। একটি মুসলিম নারী তার দেহ এবং ব্যক্তিত্বের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হওয়া উচিত, এবং পর্দার বিধান মেনে চলা তার জন্য অপরিহার্য। ৪. সৌন্দর্য ও শারীরিক অবস্থা: যদিও সৌন্দ...

স্মার্ট নারী ও ধার্মিক নারীর তুলনামূলক আলোচনা। লেখক -মোঃ ফিরোজ কবির।

Image
  স্মার্ট নারী ও ধার্মিক নারীর তুলনামূলক আলোচনা স্মার্ট নারী ও ধার্মিক নারী শব্দ দুটি ভিন্ন দিক নির্দেশ করে। স্মার্ট নারী বলতে আধুনিক, বুদ্ধিমান, এবং সময়োপযোগী মানসিকতা সম্পন্ন একজন নারী বোঝায়। অন্যদিকে, ধার্মিক নারী বলতে ধর্মীয় মূল্যবোধ এবং নীতিনৈতিকতা অনুসরণকারী একজন নারীকে বোঝায়। তবে এই দুই বৈশিষ্ট্য একই নারীর মধ্যেও থাকতে পারে। নিচে তাদের মধ্যে তুলনামূলক আলোচনা করা হলো: ১. বৈশিষ্ট্য স্মার্ট নারী: সময়ের চাহিদা অনুযায়ী মানিয়ে নেওয়ার ক্ষমতা রাখে। শিক্ষা, পেশা, ও প্রযুক্তিগত দক্ষতায় পারদর্শী। আত্মবিশ্বাসী, কার্যকরী সিদ্ধান্ত গ্রহণকারী। নিজস্ব ব্যক্তিত্ব এবং মতামত প্রকাশে সাহসী। ধার্মিক নারী: ধর্মীয় অনুশাসন ও নৈতিক আদর্শ অনুসরণ করেন। সৎ, নম্র, এবং সেবামূলক জীবনযাপনে বিশ্বাসী। পারিবারিক ও সামাজিক জীবনে ন্যায়পরায়ণ। আত্মিক প্রশান্তি এবং আধ্যাত্মিকতায় গুরুত্ব দেন। ২. জীবনধারা স্মার্ট নারী: ক্যারিয়ার, সামাজিক জীবন, এবং ব্যক্তিগত উন্নয়নে মনোযোগী। আধুনিক ফ্যাশন ও জীবনযাত্রার প্রতি সচেতন। দ্রুত সমস্যার সমাধান করতে সক্ষম। ধার্মিক নারী: ধর্মীয় আচার-অনুষ্ঠান পালন করেন এবং পরি...

নারী শব্দের অর্থ কি? নারী কাকে বলে? সমাজে নারীদের সম্পর্কে মানুষের ধারণা। বিভিন্ন ধর্মে নারীর ধারণা। লেখক- মোঃ ফিরোজ কবির।

Image
  নারী শব্দটি বাংলা ভাষায় অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এবং বহুমাত্রিক অর্থ বহন করে। প্রধান অর্থ: নারী শব্দটি মূলত মহিলা বা মেয়েলি লিঙ্গের মানুষ বোঝায়। এটি পুরুষ শব্দের বিপরীতার্থক। মূলত উৎপত্তি: "নারী" শব্দটি সংস্কৃত "নার" (যার অর্থ মানুষ বা প্রাণী) থেকে এসেছে। এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছে "ঈ" প্রত্যয়, যা স্ত্রীলিঙ্গ নির্দেশ করে। অর্থাৎ, নারী শব্দটি মূলত "মানবী" বা "নারীবিশেষ" অর্থে ব্যবহৃত হয়। প্রসারিত অর্থ: নারী শব্দটি শুধু শারীরিক সত্তাকে নয়, বরং স্নেহ, ভালোবাসা, মমতা, সৌন্দর্য, এবং শক্তির প্রতীক হিসেবেও ব্যবহৃত হয়। এটি মাতৃত্ব, সহানুভূতি, এবং ত্যাগের ধারণার সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িত। সাহিত্য ও সংস্কৃতিতে ব্যবহার: সাহিত্য, কবিতা এবং লোকগাথায় নারীকে সৌন্দর্যের প্রতীক এবং প্রেম, করুণাময়তা ও শক্তির উৎস হিসেবে উপস্থাপন করা হয়েছে। উদাহরণস্বরূপ, "নারী" শব্দটি কখনো দেবী দুর্গা বা মা কালীর মতো শক্তি ও সাহসের প্রতিনিধিত্ব করে। অতএব, "নারী" শব্দটি কেবল লিঙ্গ নয়, বরং মানসিক, সামাজিক, এবং সাংস্কৃতিক শক্তি ও ভাবেরও প্রতীক। না...

Discuss the status of women in Islam with reference to Quran and Hadith. Writer by Md. Firoj Kobir.

Image
  The Status of Women in Islam: In the Light of the Quran and Hadith Islam places a significant emphasis on the dignity and status of women. According to Islamic teachings, men and women are equal in terms of spiritual worth and accountability before Allah. Below is a detailed discussion based on the Quran and Hadith regarding the status of women in Islam: Status of Women in the Quran Equal Creation The Quran states: "O mankind! Fear your Lord, who created you from a single soul and created from it its mate and dispersed from both of them many men and women." (Surah An-Nisa, 4:1) This verse highlights the equality in the creation of men and women. Equal Spiritual Standing The Quran declares equal rewards for men and women who are righteous: "Indeed, the Muslim men and Muslim women, the believing men and believing women... Allah has prepared for them forgiveness and a great reward." (Surah Al-Ahzab, 33:35) The Honor of Motherhood The Quran acknowledges the hardships ...

ইসলামে নারীর মর্যাদা কুরআন ও হাদিসের আলোকে আলোচনা কর। লেখক মোঃ ফিরোজ কবির।

Image
ইসলামে নারীর মর্যাদা অত্যন্ত উচ্চ এবং তা কুরআন ও হাদিসে স্পষ্টভাবে উল্লেখিত। ইসলামের শিক্ষা অনুসারে নারী-পুরুষ উভয়েই আল্লাহর সৃষ্টি এবং তাঁদের জন্য সমান মর্যাদা ও অধিকার নিশ্চিত করা হয়েছে। এখানে কুরআন এবং হাদিসের আলোকে নারীর মর্যাদা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো: কুরআনের আলোকে নারীর মর্যাদা সমান সৃষ্টি কুরআনে আল্লাহ বলেছেন: "হে মানবজাতি! তোমরা তোমাদের প্রতিপালককে ভয় করো, যিনি তোমাদের একক প্রাণ থেকে সৃষ্টি করেছেন এবং তার থেকেই তার সঙ্গিনীকে সৃষ্টি করেছেন।" (সূরা আন-নিসা, আয়াত ১) এই আয়াতে নারী ও পুরুষের সমান সৃষ্টির কথা বলা হয়েছে। সমান আধ্যাত্মিক মর্যাদা কুরআনে নারী-পুরুষের জন্য একই আধ্যাত্মিক পুরস্কারের কথা উল্লেখ করা হয়েছে: "নিশ্চয় মুসলিম পুরুষ এবং মুসলিম নারী, মুমিন পুরুষ এবং মুমিন নারী... তাদের জন্য আল্লাহ ক্ষমা এবং মহান পুরস্কারের ব্যবস্থা করেছেন।" (সূরা আহযাব, আয়াত ৩৫) মাতৃত্বের গুরুত্ব সন্তান জন্মদান এবং লালন-পালনে নারীর অবদানকে কুরআনে মর্যাদা দেওয়া হয়েছে: "আমরা মানুষকে তার পিতা-মাতার সাথে সদ্ব্যবহার করতে নির্দেশ দিয়েছি। তার মা কষ্টের পর কষ্ট সহ্য ...